1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

পহেলা বৈশাখ বাঙালির চিরায়িত ঐতিহ্য : প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৮১ Time View

বাংলা নববর্ষ বাঙালির চিরায়িত ঐতিহ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, বাঙালির মহামিলনের দিন। এদিন সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে সবাইকে আজ নব-আনন্দে জেগে ওঠার উদাত্ত আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, যদিও করোনাভাইরাস সংক্রমণে বর্তমান বিশ্ব বিপর্যস্ত। সে কারণে গত বছরের মতো এ বছরও সীমিতভাবে সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে বাংলা নববর্ষ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘরে বসে উদযাপনের অনুরোধ জানাই।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুভ নববর্ষ ১৪২৮। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির চিরায়িত ঐতিহ্য। বাঙালির আত্মপরিচয় ও শেকড়ের সন্ধান মেলে এর উদযাপনের মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখের দিকে তাকালে বাঙালি তার মুখচ্ছবি দেখতে পায়। বৈশাখ আমাদের নিয়ে যায় অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়নে, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে, অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান আমলে ঔপনিবেশিক শক্তি বাঙালির ঐতিহ্যকে নস্যাৎ করতে চেয়েছে। বাঙালিরা দুর্বার প্রতিরোধে আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে তা প্রতিহত করেছে। সেই শক্তিকে ধারণ করে শামিল হয়েছে মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। নববর্ষের- এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন। এই পথ বেয়ে বিশ্বসমাজে বাঙালি হয়ে উঠবে শ্রেষ্ঠ জাতি।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এ বছর আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এ বছর আমরা উদযাপন করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর আমরা উদযাপন করবো মহান ভাষা আন্দোলনের হীরকজয়ন্তী। বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না, বাঙালি বীরের জাতি হিসেবে তার অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে যুগ যুগান্তর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তারও মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের মূলসূত্র নিহিত আছে জাতিগত বিকাশ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিতে। সেই আদর্শে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন, দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তার অভিন্ন চেতনা। একইসঙ্গে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ তথা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবারের বৈশাখ হবে আমাদের জন্য বিপুল প্রেরণাদায়ী।

তিনি আরও বলেন, বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে যাবো- এবারের নববর্ষে এ হোক আমাদের প্রত্যয়ী অঙ্গীকার। কবি গুরুর ভাষায়-

মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।

রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো, আনো, আনো তব প্রলয়ের শাঁখ

মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।
এসো, হে বৈশাখ এসো, এসো …

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..